ঘোড়াঘাটে অবাধে চলছে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধন
মোঃ মাহফুজুর রহমান সরকার, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
ঘোড়াঘাট উপজেলার নদ-নদী ও খাল-বিল এখন বর্ষার পানিতে টইটম্বুর। বছরের বৈশাখ থেকে শ্রাবণ মাসের শেষ পর্যন্ত জলাশয়ে সবধরনের মাছ ডিম ছাড়ে। চারদিকে থৈ-থৈ পানি। বর্ষার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য ভাণ্ডার খ্যাত এ উপজেলায় দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে।
নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল, খৈলশুনি ও শয়তান জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে চলছে মা ও পোনা মাছ নিধন।হাটে-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এ সব দেশীয় প্রজাতির মা মাছ ও পোনা মাছ। আর প্রতিবছরের মতো এবারও নিশ্চুপ মৎস্য বিভাগ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন জলাশয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল, বাদাই জাল, খৈলশুনিসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনযজ্ঞে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর অসাধু মৎস্য শিকারিরা। বিশেষ করে শৈল ও টাকি মাছের পোনা মারতে মাতোয়ারা হয়ে উঠছেন তারা। আর করোনাকালীন অলস সময় পার করতে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরও বেড়ে গেছে।
, ঘোড়াঘাট উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলার মাছের মোট চাহিদা ২০৬৮.৫ মেঃ টন, মোট উৎপাদন ২১৭৩.৭৮ মেঃ টান, ২০২৪ সালে উৎপাদন হয়েছে ২২০০.০ মেঃ টন। এখানে কোন মৎস অভয়ারণ্য নাই। সরকারি দিঘী-পুকুর সংখ্যা ৮৯টি, এর আয়তন ৬৫.৫৯ হেক্টর, উৎপাদন হয়েছে ২৮০.১৮ মেঃ টন, উদ্বৃত্ত ৫ হাজার ৫০ মেট্রিকটন। বেসরকারি দিঘী-পুকুর রয়েছে ১৫৭টি, এর আয়তন ৩৩৭.৭৮ হেক্টর, উৎপাদন ১৪৪২.৯৩ মেঃ টন, বাণিজ্যিক মৎস খামারের সংখ্যা রয়েছে ৩৮টি, এর আয়তন ১৩.৩৮ হেক্টর, উৎপাদন ১৫৯.৪১ মেঃ টন, সরকারি বিলের সংখ্যা একটি আয়তন রয়েছে ৫.৮৭ হেক্টর, উৎপাদন ১৪.৫০ মেঃ টন, বেসরকারি প�