সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ষড়যন্ত্রমূলক মামলার সাজা প্রদান করায় পৌর বিএনপির সভাপতি মহি’র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ
কামাল খান
সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও গোলাপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান ফয়সাল ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ৩নং ফুলবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। তিনি জনগণের আস্থা, ভালোবাসা ও নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনে একজন জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন।
কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসন আমলে তাঁর বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে একের পর এক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মিথ্যা মামলার ভিত্তিতে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তাঁকে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়, যা ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের মার্চ মাসে গোলাপগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর লরিফর এলাকায় এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে তাঁর পুত্র ওয়াহিদুর রহমান সানি, ছোট ভাই এবং পারিবারিক ব্যবসার কয়েকজন কর্মচারীকে বেআইনিভাবে র্যাব ও পুলিশের মাধ্যমে আটক করে অমানবিক নির্যাতনের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়। এই স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আদালত ওয়াহিদুর রহমান সানিকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন, যা ন্যায়বিচারের চরম অবমূল্যায়ন।
এ প্রেক্ষিতে সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি মশিকুর রহমান মহি,সিলেট জেলা বিএনপির শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক জনাব নজরুল ইসলাম এক বিবৃতিতে অবিলম্বে ওয়াহিদুর রহমান সানির মুক্তি দাবি করেন। পাশাপাশি তাঁরা উক্ত হত্যা মামলার নিরপেক্ষ ও পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
