জয়পুরহাট ক্ষেতলালে পরকীয়াই আসক্ত হয়ে স্বামীকে ডিভোর্স
=========================================== জেলা প্রতিনিধি :
জযপুরহাট ক্ষেতলালে তুলসীগঙ্গা ইউনিয়নের দাসড়া ধোয়াপুকুর গ্রামের মোছা: আয়শা সিদ্দিকা (নুসরাত) ২০ পিতা :মোঃ মাহফুজুর রহমান একই উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের মো: নাহিদ বাবু ২৫ পিতা : সেকেন্দার আলী । আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাত ও নাহিদ বাবু লেখাপড়া করা অবস্থায় তারা প্রেমে আবদ্ধ হয়, দুই বছর রিলেশনের পর পারিবারিক ভাবে ১৫/০৫/২৩ ইং তারিখে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাত তার স্বামীকে একটা রিকুয়েস্ট করে আমাকে লেখাপড়া করাতে হবে, নুসরাতের রিকুয়েস্টে স্বামী তাকে লেখাপড়া করাতে রাজি হয় । নাহিদ বাবু ময়মনসিংহে কোম্পানিতে জব করে, নুসরাত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (DUET) ডুয়েটে ভর্তির জন্য ঢাকা গাজীপুর শিববাড়ি একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। কোচিং এ ভর্তির পর দুই মাস পর্যন্ত তাদের স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল, দুই মাস পর আয়শা সিদ্দিকা নুসরাত কোচিং এ ডুয়েট শিক্ষার্থী কোচিং টিচার সাকিব হাসানের সাথে প্রেমে আবদ্ধ হয়, স্বামীর সঙ্গে ফোনে কথা বলতো না, স্বামীকে ব্লক করে রাখতো, খোজখবর নিয়ে স্বামী নাহিদ বাবু জানতে পারে নুসরাত নতুন প্রেমে আসক্ত হয়েছে। আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাতের মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগতো, প্রতি মাসের শেষে মোবাইলের ব্লক খুলে দিতো এবং নাহিদ বাবুর সাথে কথা বলতো টাকা চাইতো নাহিদ বাবু তাকে টাকা দিতো নুসরাত এর বাবা-মা ও সামান্য অর্থ দিয়ে সাহায্য করত । নাহিদ বাবু তার বাবা মাকে কোন টাকা পয়সা দিত না । নাহিদ বাবু নুসরাতকে অনেক বুঝিয়েছে কিন্তু কোন লাভ হয়নি, তখন নাহিদ বাবু গোপনে আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাতের রুমমেটদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, রুমমেটেরা জানাই নুসরাত নিয়মিত রাত ২ টা থেকে ভোর পর্যন্ত ফোনে কথা বলে, নুসরাত ফোনে কথা বলার সময় তার রুমমেট নাহিদ বাবুকে ফোন দিয়ে নুসরাতকে জিজ্ঞেস করে তুইতো নাহিদ ভাইয়ের সাথে কথা বলিসনা এতক্ষণ কার সাথে কথা বলিস, তখন নুসরাত বলে আমার লাইফ আমি বুঝবো তোকে এই বিষয়ে মাথা ঘামাতে হবে না, স্বামী নাহিদ আয়েশা সিদ্দিকা নুরশাদের অবৈধ প্রেমিক শাকিব হাসানের সাথে ফোনে কথা বলে এবং চ্যাটিং করে সাকিব হাসান প্রেমের সত্যতা স্বীকার করে। সাকিব বলে তার সাথে নুসরাত জয়দেবপুরে ০৩ দিন গভীর সম্পর্কের মিট করেছে। গত রমজানে নাহিদ বাবু বাসায় এসে তার শশুর শাশুড়িকে সবকিছু খুলে বলে, শশুর কোন উত্তর দেয়নি আর শাশুড়ি বলে বাবা বিষয়টি আমি দেখতেছি কাউকে বলো না। কয়েকদিন পর নাহিদ বাবু তার শাশুড়িকে ফোন করে বলে আপনি নুসরাদের বিষয়ে কি করলেন, শাশুড়ি বলে তোমার জীবন তুমি অন্যভাবে সেটেল করেনাও। তখন নাহিদ বাবু বিষয়টি কোচিং সেন্টারের মালিককে জানায়, কোচিং সেন্টারের মালিক বলে বিষয়টি আমি দেখতেছি আর তুমি খোঁজ খবর রাখো, হঠাৎ একদিন কোচিং সেন্টারের মালিক নাহিদকে ডেকে পাঠাই এবং আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাতের তিনটি রুমমেট কে ডেকেপাঠায় এবং ২ দিন ঘরোয়া ভাবে সালিশ করে, সালিশে আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাত ও সাকিব এর সম্পর্কের সত্যতা প্রমাণিত হয়। এবং তার রুমমেটেরা বলে শুধু সাকিব নয় একাধিক ছেলের সঙ্গে তার সম্পর্ক, সম্পর্ক সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় কোচিং মালিক অবৈধ প্রেমিক প্রেমিকা আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাত ও প্রেমিক সাকিব হোসেনকে কোচিং সেন্টার থেকে বের করে দেয়। আয়েশা সিদ্দীকা নুসরাত কে বেরকরে দিলে সে ময়মনসিংহ স্বামীর কাছে গিয়ে স্বামীকে বলে মেসে সমস্যা ৪ দিন এখানে থাকবো, ২ দিন থাকার পর স্বামী জব করতে গেলে আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাত ২ লক্ষ টাকা ও সোনা দানা নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে আসে এবং স্বামী নাহিদ বাবুকে ডিভোর্স করে ! সাংবাদিকেরা আয়েশা সিদ্দিকা নুরশাদ এর বাবা মার সঙ্গে কথা বললে তারা বলে আমার মেয়ে ডিভোর্স করেছে কিন্তু অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক নেই, বাবা মাহফুজুর রহমান বলে আমার মেয়ে সোনা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মেয়ে রূপাও নয়, সে মাকালের ফল । মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে বলে মেয়ে নানির বাড়িতে গেছে তার সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে সে সবকিছু অস্বীকার করে । এবং নাহিদ বাবুকে ফোন করে আয়েশা সিদ্দিকা নুসরাতের আত্মীয়-স্বজনেরা বিভন্ন হুমকি দিচ্ছে ।
নিউজে যে সকল তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়েছে তার সকল ডকুমেন্ট প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত